![]() |
দোয়া |
আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
রাসূল (সা.) বর্ণিত দোয়া-
জ্ঞান বৃদ্ধি ও স্মরণশক্তির দোয়া
"রব্বিশ রহলী সদরী ওয়া ইয়াসসিরলী আমরী ওয়াহলুল উক্দাতাম মিললিসানী ইয়াফ্কাহূ কাওলী।"
অর্থ: হে আমার রব! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে। সূরা তোহা:২৫-২৮
"রব্বি যিদনী ইলমা।"
অর্থ: হে আমার রব! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও। সূরা তোহা ১১৪
ঘুমানো যাওয়ার দোয়া
"আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া।"
ঘুম থেকে উঠার দোয়া
"আলহামদুলিল্লাহিল্লাযী আহইয়ানা বা'দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর।"
যে কোন কঠিন রোগ থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া
‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকম।’
অর্থ : হে আল্লাহ অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার মারাত্মক ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
(আবু দাউদ ২/৯৩, সহী তিরমিযী ৩/১৮৪; সহিহ নাসাঈ ৩/১১১৬)
বিপদ থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া
আমাদের এই চলমান জীবনে অনেকেই হঠাৎ করে বিভিন্ন বিপদে পড়ে থাকি। মানুষ সাধারণত বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পার্থনা করে সাহায্য চেয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন,- ‘হঠাৎ কোনো বিপদ- আপদ ও দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিন বার এই দোয়া পড়বে। পৃথিবীর কোন কিছুই তার কোন ধরণের ক্ষতি করতে পারবেন।’
(আবু দাউদ, তিরমিজি, ৩৩৮৮)
‘বিসমিল্লা-হিল্লাজি, লা ইয়াদুররু মা আসমিহি শাইয়ান ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম।’
অর্থ : আমি সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আকাশ-জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।
আয়তাল কুরসি
বিপদ ছাড়াও শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার আয়াত আয়তাল কুরসি,হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। তাই এখনই পবিত্র আয়তুল কুরসীটি মুখস্থ করে নিন।
"আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।"
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি শাশ্বত চিরঞ্জীব। বিশ্ব প্রকৃতির সর্বসত্তার ধারক। তিনি তন্দ্রা নিদ্রাহীন সদাসজাগ। মহাকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুর মালিক। তাঁর সদয় অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করার সাধ্য কারো নেই। দৃশ্যমান বা অদৃশ্য, অতীত বা ভবিষ্যৎ-সৃষ্টির সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু জানাবেন, এর বাইরে তাঁর জ্ঞানের আসন, তাঁর কর্তৃত্ব পৃথিবী ও নভোমণ্ডলের সর্বত্র বিস্তৃত। আর তা সংরক্ষণে তিনি অক্লান্ত। তিনি সর্বোচ্চ সমহান। -(সূরা বাকারা:২৫৫)
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা
হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) যখন কোনো সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করতেন তখন বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম, ওয়া নাউজুবিকা মিন শুরুরিহিম। অর্থ, ‘হে আল্লাহ! আমরা তোমাকেই তাদের মুখোমুখি করছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমারই কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (আবু দাউদ ও নাসাই)
কোন কিছু হারালে
হজরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে যেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা দোয়া পাঠ করে, তখন আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদ দূর করে দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে, তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) বিপদের সময় পাঠ করতেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হাজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি-ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’
অর্থ, ‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমণ্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু।’ (সহিহ্ বুখারি ও মুসলিম)
দুনিয়া ও আখেরাতের শ্রেষ্ঠ দোয়া
‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। সূরা বাকারা : ২০১
আল্লাহ আমাদের সকলকেই কবুল করুন। আমীন।
✍️ কুরআন সুন্নাহ ✍️
Tags:
Sunnah