MrJazsohanisharma

কোরআনের অলৌকিকত্ব

 

কোরআনের অলৌকিকত্ব
কোরআনের অলৌকিকত্ব

কোরআনের অলৌকিকত্ব

সৃষ্টি শুরু থেকেই মানব সমাজের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য  হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, যখন কোন নবী বা রাসূলের মাধ্যমে আল্লাহ ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষকে পরিচালিত হওয়ার নির্দেশ আসে। তখন মানুষ তা গ্রহণ না করে নবী বা রাসূলের নিকট কোন 'যাদু' বা 'মোজেজা' অথবা কোন অলৌকিক ঘটনা দেখানোর দাবি করে থাকে।

যাদু বা নিদর্শন

হযরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে তার দেশবাসীর অযৌক্তিক দাবি 'যাদু' বা 'নিদর্শন' দেখানোর অসারতা প্রমাণ করেন,

" এটা কি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি তোমার নিকট কোরআন অবতীর্ণ করেছি। যা তাদের নিকট পাঠ করা হয়, অবশ্যই এতে অনুগ্রহ ও উপদেশ রয়েছে, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে।" (আনকাবূত-৫১)

" আমি তোমার নিকট কোরআন অবতীর্ণ করেছি।" এখানে 'তোমার' শব্দটি দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তোমার শব্দটি বাসূল (সা.) উদ্দেশ্যে করে বলা হয়েছে - যিনি ছিলেন সম্পূর্ণভাবে নিরক্ষর অর্থাৎ পড়া-লেখা জানতেন না। যিনি নিজের নামও লিখতে জানতেন না।

কোরআনে, " তুমি তো কোন কিতাব পাঠ করনি, এর আগে নিজ হাতে কোন কিতাব রচনা করনি যে মিথ্যাচারীরা সন্দেহ পোষণ করবে।" (আনকাবূত-৪৮)

অর্থাৎ রাসূল (সা.) পড়া-লেখা জানা থাকলে শত্রুরা ঠাট্টা করে বলে বেড়াতো যে খুব সম্ভবতঃ ইহুদী ও ঈসায়ীদের ধর্মগ্রন্থ নকল করে তিনি কোরআন রচনা করেছেন। আরো বলতে পারতো, বোধ হয় গ্রীক দার্শনিক এরিষ্টটল ও প্ল্যাটোর বই পড়ে 'তাওরাত' এবং 'জাবুরের' কথা গুলো সুন্দর ভাষায় এটি রচনা করেছেন।

আল্লাহ এই বিষয়ে অবিশ্বাসীদের চ্যালেঞ্জ করেছেন এই বলে, " তারা কি কোরআন সম্বন্ধে অনুধাবন করে না? ইহা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো হত,তবে অবশ্যই ইহাতে অসংগতি দেখতে পেত।" (নিসা-৮২)

একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন কিতাবের লেখক দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত কখনই তার উপদেশ বা শিক্ষা সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে পারেন না। জীবনের বেশিরভাগ সময় বিরুদ্ধপূর্ণ  উত্থান পতনে একজন মানুষ কোথাও না কোথাও এবং যে কোন সময়ে তার উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হবেই। নিজেকে বিতর্কিত পথে নিয়ে যাবেই। কোন মানুষই তার শিক্ষা ও প্রচারকে একইভাবে ধরে রাখতে পারে না। পবিত্র কুরআন আজ পর্যন্ত যেভাবে ধরে রেখেছে। 

আরো জানতে গুগল নিউজ হলো করুন..Click

✍️ কুরআন সুন্নাহ ✍️

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

If you have any doubts. Please let me know.

নবীনতর পূর্বতন
"'glt'"/body>